এসএম হেলাল, বালাগঞ্জ :
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের হামছাপুর গ্রামে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। নদীর পাড়ধসে ইতোমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে পুরো গ্রাম।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, এক সময়ের বড় ও সমৃদ্ধ এই গ্রামটির উল্লেখযোগ্য অংশ এখন নদীগর্ভে। কুশিয়ারা নদীর প্রবল স্রোত সরাসরি হামছাপুরের দিকে এসে আঘাত হানায় নিয়মিত ভাঙন দেখা দিচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে নিতে ক্লান্ত ও দিশেহারা।
অনেক পরিবারকে বারবার নতুন করে ঘর তুলতে হচ্ছে। কেউ ৩ বার, কেউবা ৫ বার পর্যন্ত জায়গা বদল করেছেন। সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম রইছ উদ্দিন মাস্টারের পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। তাদের পূর্ববর্তী বসতভিটাও এখন নদীর অংশ।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর দুশ্চিন্তা দিন দিন বাড়ছে।
হামছাপুর গ্রামের বাসিন্দা হেলাল আহমদ , আব্দুর রব মোল্লা, হাসান মিয়া, সাদ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙনের শিকার হলেও টেকসই কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়দের জোরদাবি দাবি—আর দেরি নয়, দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম বারী জানিয়েছেন, হামছাপুর ভাঙনরোধে ৬৫০ মিটার দীর্ঘ প্রতিরক্ষা প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিত কুমার চন্দ বলেন, হামছাপুর গ্রামের কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Leave a Reply